বেলের পুষ্টি ও ঔষুধি গুন
বেল একটি পুষ্টিকর আর উপকারী ফল। কাচা পাকা দুটোই সমান উপকারী। কাচা বেল ডায়রিয়া ও আমাশায় রোগে ধন্বন্তরী। পাকা বেলের শরবত সুস্বাদু। বেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও পটাসিয়ামের মত মূল্যবান পুষ্টি উপাদান। অনেকে মনে করেন প্রতিদিন একটি করে বেল পাতা ঘি দিয়ে ভেজে চিনি সহ খেলে স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটে।এছাড়াও বেলে রয়েছে নানান পুষ্টি ও ঔষধি গুন।
আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক বেলের পুষ্টি ও ঔষুধি গুনঃ
পুষ্টিগুন ঃ
বেল একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল। এতে প্রচুর পরিমাণে শ্বেতসার, ক্যারোটিন, ভিটামিন বি কমপ্লেস, ক্যালসিয়াম ও লৌহ রয়েছে। (প্রতি ১০০ গ্রামে), জলীয় অংশ ৭৭.৫ গ্রাম, মোট খনিজ পদার্থ .৯ গ্রাম, হজমযোগ্য আঁশ ২.৯ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৮৭ কেসি, আমিষ ২.৬ গ্রাম, চর্বি .২ গ্রাম, শর্করা ১৮.৮ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩৮ মিলি গ্রাম, লৌহ .৬ মিলি গ্রাম, ভিটামিন বি১ .০৩ মিলি গ্রাম, ভিটামিন বি২ .০২ মিলি গ্রাম,ভিটামিন সি ৯ মিলি গ্রাম।
ঔষধিগুণ:
বেল কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও আমাশায়ে উপকার করে। আধাপাকা সিদ্ধ ফল আমাশয়ে অধিক কার্যকরি। বেলের শরবত হজম শক্তি বাড়ায় এবং বলবর্ধক।
বেলের পাতার রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে পান করলে চোখের ছানি ও জ্বলা উপশম হয়।
পাতার রস, মধু ও গোলমরিচের গুঁড়া মিশিয়ে পান করলে জন্ডিস রোগ নিরাময় হয়।
বেল নিয়মিত খেলে কোলন ক্যানসার হওয়ার আশস্কা অনেকাংশে কমে যায়।
এছাড়াও কাঁচা ও পাকা বেল সুস্বাদু খাবার। পাকা বেলের জুস তৈরি করে খাওয়া যায়।