সেপ্টেম্বর মাসে শুধু অমন ধানই নয়, আরও অনেক ফসল লাগানো যায়। আপনি যদি এখন থেকে পরিকল্পনা করেন, তাহলে শীতকালে আপনার আয় বেড়ে যাবে। আমি যা বললাম, তার কোনোটাই থিওরি নয় — আমি নিজে চেষ্টা করে দেখেছি। আপনিও চেষ্টা করুন, দেখবেন ফল পাবেন। আপনাদের মধ্যে যারা সেপ্টেম্বরে কোনো ফসল লাগাবেন, কমেন্টে জানাবেন। আমি আপনাদের সাথে আরও টিপস শেয়ার করব!
আমি যখন প্রথম বছর আগাছায় ভুগেছিলাম, তখন মনে হয়েছিল — “চাষ আর করব না!” কিন্তু এই সহজ উপায়গুলো প্রয়োগ করে আজ আমার জমিতে আগাছা ৮০% কম! আর খরচ? প্রায় শূন্য!
আপনার প্রয়োজনের চেয়ে বড় পাম্প কিনবেন না, আবার ছোটও কিনবেন না। সঠিক পাম্প = সঠিক ফসল + সঠিক মুনাফা। আমি যখন প্রথমবার ভুল পাম্প কিনেছিলাম, তখন মনে হয়েছিল “কৃষি আর করব না!” কিন্তু সঠিক পাম্প পেয়ে আজ আমার ফসল দ্বিগুণ, কষ্ট অর্ধেক!
যখন প্রথম আমি এটা কিনে আনি, তখন আমার পাড়া-প্রতিবেশী অনেকেই হাসিঠাট্টা করেছিল। "এটা দিয়ে কি কোন কাজ হয় ?"... " এটা কিনে শুধু টাকা নষ্ট!"... কিন্তু আমি হাল ছাড়িনি, ভরসা রেখেছি । (FAO) এক রিপোর্টে পড়েছি, বাংলাদেশের ৮০% বেশি কৃষক ছোট জমির চাষী, মানে যাদের জমির পরিমাণ এক একরেরও কম। আর এই সাশ্রয়ী প্রযুক্তিতো তাদের জন্যই ।
এখনকার সময়টাই সবজি বীজতলা করার আদর্শ সময়। সঠিক জমি, ভালো বীজ, সার, পানি ও পরিচর্যা দিলে ফলন হবে ভালো এবং সময়মতো বাজারে সবজি বিক্রি করা যাবে। এতে শুধু কৃষকের আয় বাড়বে না, দেশের সবজি উৎপাদনেও অবদান রাখা যাবে।
ধান কাটার মৌসুম কৃষকের জন্য আনন্দের সময়। তবে একটু সচেতনতা আর আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার ফলন বাড়ায় এবং অপচয় কমায়। সঠিক সময়ে কাটা, ভালোভাবে শুকানো আর নিরাপদ সংরক্ষণ করলে কৃষকের ঘাম ঝরানো ফসল সত্যিকার অর্থেই সোনার ফসল হয়ে উঠবে।
জলবায়ু পরিবর্তন ও নদীভাঙনের মতো সমস্যায় আক্রান্ত এলাকায় ফ্লোটিং গার্ডেন শুধু কৃষির সমাধানই নয়, বরং গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল রাখার একটি কার্যকর পদ্ধতি।
সেড করার আগে ছাগলের জাত ও সংখ্যা বিবেচনা করুন। পাশাপাশি স্থানীয় পশুসম্পদ অফিস বা অভিজ্ঞ খামারির কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া ভালো। এভাবে তৈরি সেড স্বাস্থ্যকর, টেকসই এবং লাভজনক খামার পরিচালনায় সহায়ক হবে।
মেহেগুনি হলো প্রকৃতির কৃষকের সেরা বন্ধু। ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই জৈব কীটনাশক তৈরি করে আপনি নিজের ফসল রক্ষা করবেন, পরিবেশ রক্ষা করবেন এবং আপনার পরিবারের খাবার করবেন রাসায়নিকমুক্ত।
পরের বছর গাছে যদি প্রচুর আম চান, তবে এই মৌসুম থেকেই যত্ন নিতে হবে। মনে রাখবেন—আম গাছে ফল আসে আগের বছরের যত্নের ভিত্তিতে। এই বর্ষায় যদি ছাঁটাই, সার দেওয়া, পরিস্কার ও সঠিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন—আগামী বছর ফলন দেখে আপনি নিজেই আনন্দে অবাক হবেন!
মাছের চামড়া থেকে জেলেটিন উৎপাদন শুধু আয়ের উৎসই নয়, এটি পরিবেশ বান্ধব ব্যবসা। অল্প বিনিয়োগে শুরু করা এই উদ্যোগ আপনাকে দিতে পারে আর্থিক স্বাধীনতা। অপচয়কে সম্পদে রূপান্তর করে আজই শুরু করুন আপনার জেলেটিন উৎপাদনের যাত্রা!
ভার্টিক্যাল ফার্মিং শুধু কৃষিপণ্য উৎপাদন নয়, এটি নগর পরিকল্পনায় টেকসই পরিবর্তনের হাতিয়ার। ঢাকার মতো শহরে যেখানে ৮৬% সবজি আমদানি নির্ভর, সেখানে আপনার টেরাস বা দেয়ালই হতে পারে স্থানীয় খাদ্য উৎপাদনের ক্ষেত্র। আজই একটি PVC টাওয়ার বসিয়ে শুরু করুন আপনার উল্লম্ব কৃষি যাত্রা!