দায়ী অনুজীব:
ধানের
দানার বিবর্ণতা একটি জটিল রোগ যা Alternaria sp.,
Curvularia sp., Cladosporium spp., Bipolaris spp সহ
বিভিন্ন অণুজীবের দ্বারা বিকশিত হয়। বাংলাদেশে প্রায়ই বাইপোলারিস এবং কুয়ারভুলারিয়া রোগের সাথে যুক্ত।
লক্ষণ:
১)শস্যদানার সমস্ত পৃষ্ঠ গাড় বাদামী থেকে কালো দাগে ছেয়ে যায়।
২)গাড় বাদামী থেকে কালো শস্য দানার গায়ে দেকা যায়।
৩)শস্যের উপর কালো মখমলের মত মাইসেলিয়ামের
(সুক্ষ্ম ঘন সুতার ন্যায়
বস্তু) বর্ধিত অংশ দেখা যায়
৪)আক্রান্ত শস্যের কার্ণেল বা দানার অংশ
বিশেষ বাদামী
থেকে কালো রংয়ে রূপান্তরিত হয়।
রোগের বিস্তার:
এই রোগটি মলূত ক্যানিডিয়ার মাধ্যামে ছড়িয়ে থাকে । ছত্রাকটি পরজীবী হিসেবে সংক্রামিত হয় এবং শস্যের দানায় অবস্থান করে ।এছাড়াও উদ্ভিদ ও ফসলের অবশিষ্টাংশেও পাওয়া যায়।
অনকূল আবহাওয়া
:
ধানের
হেডিং পর্যায়ে উচ্চ তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার উপস্থিতি
এই রোগের জন্য অন্যতম সহায়ক।
প্রতিরোধমলূক ব্যবস্থা
:
১)রোগমুক্ত বীজ ব্যবহার করা ।
২)কার্বেন্ডাজিম 2.0 গ্রাম/কেজি দিয়ে বীজগুলকে শোধন করা।
৩)পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ
করা।
৪)সংক্রামিত উদ্ভিদ
ধ্বংসাবশেষ অপসারণ এবং সঠিক নিষ্পত্তি নিশ্চি ত করা।
দমন ব্যাবস্থাপনা:
১)যেসব এলাকায় এই রোগের কারণে
ফলন নষ্ট হতে পারে , সেখানে ক্যাপ্টান,
ক্যাপ্টাফল,
হাইড্রোক্সাইডেফেন
এবং
ম্যানকোজেব
প্রয়োগ করলে কনিডিয়াল অঙ্কুরোদগম রোধ করা সম্ভব।
২)চারাও প্রি -ফ্লাওয়ারিং( ফুল আসার পূর্বের পর্যায়ে ) পর্যায়ে কার্বেন্ডাজিম
ছত্রাকনাশক এবং কপার নির্ভর ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে যাতে রোগটির কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়।