ক্যাপসিকাম এর বিভিন্ন রোগ ও তার প্রতিকার
মিস্টি মরিচের আলফা মোজাইক রোগ
এ রোগ হলে গাছের পাতা সাদাটে হয়ে যায় এবং পাতায় সাদাটে হলুদ-সবুজের মোজাইকের মত ছোপ ছোপ দেখা যায়।
ক্ষেত থেকে আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলা।
ভাইরাসমুক্ত বীজ বা চারা ব্যবহার করা ৩. জাব পোকা ও সাদা মাছি এ রোগের বাহক, তাই এদের দমনের জন্য ইমিডাক্লোরোপ্রিড ১ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেইমিস্টি মরিচ খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
সুস্থ গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করা।
সুষম সার ব্যবহার করা।
মিস্টি মরিচের সুটিমোল্ড রোগ
এ রোগের আক্রমনে পাতায় , ফলে ও কান্ডে কাল ময়লা জমে ।
জাব পোকা বা সাদা মাছির আক্রমন এ রোগ ডেকে আনে।
জাব পোকা বা সাদা মাছি দমণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
আকান্ত পাতা ও ডগা ছাটাই করে ধ্বংস করা।
টিল্ট ২৫০ ইসি ১০ লি. পানিতে ৫ মি.লি. মিশিয়ে ১৫ দিন পরপর ২ বার স্প্রে করা।
স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি খাবেন না বা বিক্রি করবেন না।
আগাম বীজ বপন করা।
সুষম সার ব্যবহার করা।
মিস্টি মরিচের জেমিনিভাইরাস রোগ
সাদা মাছি দ্বারা ভাইরাস ছড়ায় । কচি পাতার গায়ে টেউয়ের মত ভাজের সৃষ্টি হয় ।
আক্রান্ত গাছ সংগ্রহ করে ধ্বংস করা ।
রোগমুক্ত গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করা ।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন জাত ব্যবহার করা ।
ভাইরাসের বাহক পোকা দমনেহার জন্য ডায়ামেথেয়ট, এসাটাফ, এডমেয়ার, টিডো, ইত্যাদি যে কোন একটি ১ মিলি /লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা) ।
স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি খাবেন না বা বিক্রি করবেন না।
আগাম বীজ বপন করা।
সুষম সার ব্যবহার করা।
সঠিক দুরত্বে চারা রোপন করুন।
মিস্টি মরিচের গোড়া পঁচা রোগ
ছত্রাকের আক্রমণে মিস্টি মরিচের চারার গোড়া পঁচে যায়। চারা নেতিয়ে পড়ে ।
বেডে চারা উৎপাদন করা বা সবজি বীজ বপন করা ।
পানি নিস্কাসনের ব্যবস্থা করা।
শতাংশ প্রতি ৭- ১০ কেজি ট্রাইকো- কম্পোস্ট ব্যবহার করা।
স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি খাবেন না বা বিক্রি করবেন না।
আগাম বীজ বপন করা।
সুষম সার ব্যবহার করা।
সঠিক দুরত্বে চারা রোপন করুন।
মিস্টি মরিচের আগা মরা রোগ
এ রোগে আকান্ত হলে প্রথমে গাছ আগা থেকে মরা শুরু হয় এবং ক্রমশ তা নিচের দিকে অগ্রসর হয় এবং এক সময় পুরো গাছ মারা যায় ।
আক্রান্ত পরিত্যক্ত অংশ সংগ্রহ করে নষ্ট করা ।
রোগ দেখা দিলে প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি টিল্ট ২৫০ ইসি ১০-১২ দিন অন্তর ২ বার স্প্রে করা ।
স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই মরিচ খাবেন না বা বিক্রি করবেন না।
সুস্থ গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করা।
সুষম সার ব্যবহার করা।
প্রোভেক্স বা হোমাই বা বেনলেট ১% দ্বারা বীজ শোধন করা ।
মিস্টি মরিচের ঢলেপড়া রোগ
এ রোগ হলে গাছের পাতা হলদে হয়ে শুকিয়ে যায়, ধীরে ধীরে গাছ ঢলে পড়ে এবং মারা যায়।
আক্রান্ত গাছ তুলে ক্ষেত পরিষ্কার করা।
চ্যাম্পিয়ন ২ গ্রাম / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না।
একই জমিতে পর পর বার বার মরিচ চাষ করবেন না।
চাষের পূর্বে জমিতে শতাংশ প্রতি ১ কেজি ডলোচুন প্রয়োগ করে জমি তৈরী করুন।
প্রতি লিটার পানিতে ৪ গ্রাম ট্রাইকোডারমা ভিরিডি মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট ধরে চারা শোধন করে নিন।
মিস্টি মরিচের ব্যাকটেরিয়া জনিত নেতিয়ে পড়া রোগ
এ রোগ হলে গাছের পাতা সবুজ থাকা অবস্থায় গাছ শুকিয়ে যায়।
গাছ ঢলে পড়ে এবং মারা যায়।
আক্রান্ত গাছ তুলে ক্ষেত পরিষ্কার করা।
চ্যাম্পিয়ন ২ গ্রাম / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না।
একই জমিতে পর পর বার বার মরিচ চাষ করবেন না।
চাষের পূর্বে জমিতে শতাংশ প্রতি ১ কেজি ডলোচুন প্রয়োগ করে জমি তৈরী করুন।
প্রতি লিটার পানিতে ৪ গ্রাম ট্রাইকোডারমা ভিরিডি মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট ধরে চারা শোধন করে নিন।
মিস্টি মরিচের এনথ্রাকনোজ রোগ
এ রোগে আক্রান্ত পাতা, কান্ড ও ফলে বাদামী কলো দাগ দেখা যায় ।
পরে দাগগুলো বড় হয় এবং মরিচ পচে যায় ।
আক্রান্ত পরিত্যক্ত অংশ সংগ্রহ করে নষ্ট করা ।
রোগ দেখা দিলে প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি টিল্ট ২৫০ ইসি ১০-১২ দিন অন্তর ২ বার স্প্রে করা ।
স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই মরিচ খাবেন না বা বিক্রি করবেন না।
সুস্থ গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করা।
সুষম সার ব্যবহার করা।
প্রোভেক্স বা হোমাই বা বেনলেট ১% দ্বারা বীজ শোধন করা ।
(তথ্য সূত্রে-plant disease clinic SAU)